কলেজ পরিচিতি
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহু প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমাদের কলেজটি আজ বিভিন্ন দিক থেকেই সাফল্যের দ্বার প্রান্তে। আমাদের রেজাল্ট যেমন দিনে দিনে আলোরন তুলছে সর্ব মহলে তেমনি কলেজে ভর্তিতে নতুন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছেও বাড়ছে গ্রহনযোগ্যতা। অভ্যন্তরীন, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলা, বিজ্ঞান মেলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও কর্মসূচীতে কলেজ অংশগ্রহণ করে পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে অত্রাঞ্চলের মানুষের মধ্যে এসেছে চাঞ্চল্যতা। যাদের কর্ম প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানটি আজ মহিরুহে পরিনত হয়েছে তাদের অনেকেই ইহধামে না থাকলেও তারা সকলের মাঝে বেচেঁ থাকবে যুগ যুগান্তর।
অধ্যক্ষের কথা
প্রকৃতির অপার মমতায় বিনির্মিত খরস্রোতা সুগন্ধা বিধৌত ঝালকাঠি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দক্ষিন বাংলার নারীশিক্ষার তীর্থক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ। ১৯৮১ সালের এক শুভক্ষনে ঝালকাঠির বিদ্যেৎসাহী কৃতি ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় পতিষ্ঠানটি জন্ম লাভ করে । প্রতিষ্ঠার সপ্তদশ বছরে ০৭ ত্রপ্রিল ১৯৯৭ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেনির বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য যারা সুযোগ পেয়েছে , আজ খেকে তোমার ত্র গৌরময় ঐতিহ্যের অংশীদার। আমার পক্ষ থেকে তোমাদের জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন। তোমাদের নিয়ে অভিভাবক ও সরকারের যে স্বপ্ন তা পূরণে তোমার সচেষ্ট থাকবে । বর্তমান সরকারের নারীবান্ধব শিক্ষানীতি, বৃত্তি, উপবৃত্তি প্রদান এবং শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ কলেজটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার গুনগত মান বৃব্ধিতে অবদান রেখে আসছে। ত্র কলেজের পূর্ববর্তী শিক্ষার্থীদের যে ফলাফল ও প্রতিষ্ঠা লাভের গৌরব রয়েছে তা তোমরা আরও উন্নত পর্যায় নিয়ে যাবে । শিক্ষক , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকমন্ডলীর নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে অনুসরন করবে । কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলবে, তোমার জীবনে লক্ষ্য সম্পর্কে সজাগ থাকবে । পরিকল্পিত লেখাপড়া করলে তোমরা অবশ্যই সফল হতে পরবে। শিক্ষা, কর্ম ও সততায় তোমরা হয়ে ওঠো অনন্য- এই শুভ কামনা রইল। প্রফেসর মোঃ হেমায়েত উদ্দিন -০৩৪৪৮ অধ্যক্ষ ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ, ঝালকাঠি।